エピソード

  • অধ্যায় ০৯: মোহিনী অবতার
    2024/10/04

    শ্রীমদ্ভাগবতমের অষ্টম স্কন্ধের নবম অধ্যায় মূলত ভগবান বিষ্ণুর মোহিনী-মূর্তি অবতারের কাহিনী নিয়ে। এই অধ্যায়ে, দেবতারা এবং অসুররা সমুদ্র মন্থনের সময় অমৃত লাভের জন্য একত্রিত হয়। যখন অমৃত বের হয়, তখন অসুররা তা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করে। দেবতাদের সাহায্য করার জন্য, ভগবান বিষ্ণু মোহিনী-মূর্তির রূপ ধারণ করেন, যা অত্যন্ত সুন্দরী নারী রূপে প্রকাশিত হয়। মোহিনী-মূর্তি অসুরদের মুগ্ধ করে এবং কৌশলে অমৃত দেবতাদের মধ্যে বিতরণ করেন.


    এই অধ্যায়ে ভগবান বিষ্ণুর কৌশল এবং অসুরদের মুগ্ধ করার ক্ষমতা বর্ণিত হয়েছে, যা দেবতাদের রক্ষা করতে সহায়ক হয়।

    続きを読む 一部表示
    7 分
  • অধ্যায় ০৮: লক্ষ্মীদেবীর উত্থান
    2024/10/03

    অষ্টম স্কন্ধের অষ্টম অধ্যায়ের শিরোনাম হল "ক্ষীরসাগর মন্থন"। এই অধ্যায়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে অমৃত লাভের জন্য ক্ষীরসাগর মন্থনের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। দেবতা ও অসুররা একত্রিত হয়ে মন্দার পর্বতকে মন্থনদণ্ড এবং বাসুকি নাগকে মন্থনের দড়ি হিসেবে ব্যবহার করে। মন্থনের ফলে প্রথমে হলাহল বিষ উৎপন্ন হয়, যা সমগ্র বিশ্বকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। তখন মহাদেব শিব সেই বিষ পান করে বিশ্বকে রক্ষা করেন। এরপর মন্থনের ফলে লক্ষ্মী দেবী, চন্দ্র, ঐরাবত হাতি, এবং অন্যান্য দেবতাদের আবির্ভাব ঘটে। অবশেষে, ধন্বন্তরি দেবতা অমৃতের কলস নিয়ে আবির্ভূত হন। এই অধ্যায়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং বিষ্ণুর মোহিনী মূর্তির আবির্ভাবের কথাও বর্ণিত হয়েছে, যিনি অসুরদের থেকে অমৃত ছিনিয়ে নিয়ে দেবতাদের প্রদান করেন। এই কাহিনী থেকে আমরা শিখি যে, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে যে কোনো কঠিন কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব, এবং ঈশ্বরের কৃপা ও সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    続きを読む 一部表示
    11 分
  • অধ্যায় ০৭: শিবের কালকূট বিষপান
    2024/10/02

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের অষ্টম স্কন্ধের সপ্তম অধ্যায়ে সমুদ্র মন্থনের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এই অধ্যায়ে দেবতা ও অসুররা অমৃত লাভের জন্য ক্ষীরসমুদ্র মন্থন করেন। মন্থনের জন্য তারা মন্দার পর্বতকে মন্থনদণ্ড এবং বাসুকি নাগকে মন্থনদড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন। মন্থনের সময় এক ভয়ঙ্কর বিষ, হলাহল, উৎপন্ন হয় যা সমগ্র বিশ্বকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য মহাদেব শিব সেই বিষ পান করেন। বিষ পান করার ফলে তার কণ্ঠ নীল হয়ে যায় এবং তিনি নীলকণ্ঠ নামে পরিচিত হন। মহাদেবের এই ত্যাগ ও করুণার কাহিনী এই অধ্যায়ে বিশেষভাবে উল্লেখিত হয়েছে।

    続きを読む 一部表示
    11 分
  • অধ্যায় ০৬: সমুদ্রমন্থনের জন্য দেবতা এবং অসুরদের সন্ধি
    2024/10/01
    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের অষ্টম স্কন্ধের ষষ্ঠ অধ্যায়ে দেবতারা এবং অসুররা একত্রিত হয়ে সমুদ্র মন্থনের জন্য একটি সন্ধি স্থাপন করে। এই অধ্যায়ে মূলত দেবতাদের এবং অসুরদের মধ্যে সমুদ্র মন্থনের প্রক্রিয়া এবং তার ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সমুদ্র মন্থনের সময়, দেবতারা এবং অসুররা মন্দার পর্বতকে মন্থনদণ্ড এবং বাসুকি নাগকে মন্থনের দড়ি হিসেবে ব্যবহার করে। এই মন্থন থেকে অনেক মূল্যবান বস্তু এবং দেবতারা ও অসুরদের জন্য উপকারী বস্তু বেরিয়ে আসে। তবে, মন্থনের সময় প্রথমে বিষ উৎপন্ন হয়, যা সমগ্র বিশ্বকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। এই বিষ থেকে বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য, মহাদেব শিব বিষ পান করেন এবং তাঁর কণ্ঠ নীল হয়ে যায়, যার ফলে তিনি নীলকণ্ঠ নামে পরিচিত হন। এই অধ্যায়ে দেবতাদের এবং অসুরদের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে সমুদ্র মন্থনের প্রক্রিয়া এবং তার ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এটি আমাদের শেখায় যে, সহযোগিতা এবং একত্রিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বড় বড় কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব।
    続きを読む 一部表示
    9 分
  • অধ্যায় ০৫: ভগবান বিষ্ণুর কাছে দেবতাদের সুরক্ষা প্রার্থনা
    2024/10/01
    শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ এর অষ্টম স্কন্ধের পঞ্চম অধ্যায়ে দেবতারা ভগবান বিষ্ণুর কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেন। এই অধ্যায়ে দেবতারা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং ভগবান বিষ্ণুর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। দেবতারা তাদের শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন এবং অসুরদের দ্বারা পরাজিত হচ্ছেন। ভগবান বিষ্ণু তাদের আশ্বস্ত করেন এবং তাদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন। এখানে উল্লেখিত ঋষি দুর্বাসা এবং দেবরাজ ইন্দ্রের কাহিনী হিন্দু শাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই কাহিনীটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ এটি সমুদ্র মন্থনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। একবার ঋষি দুর্বাসা দেবরাজ ইন্দ্রকে একটি পুষ্পমালা উপহার দেন। ইন্দ্র সেই মালাটি তার হাতি ঐরাবতের গলায় পরিয়ে দেন, কিন্তু হাতিটি মালাটি মাটিতে ফেলে দেয়। অপমানিত হয়ে ঋষি দুর্বাসা ইন্দ্রকে অভিশাপ দেন, যার ফলে দেবতারা তাদের শক্তি, সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধি হারিয়ে ফেলে। এই অভিশাপের ফলে দেবতারা অসুরদের দ্বারা পরাজিত হতে থাকেন এবং তাদের শক্তি পুনরুদ্ধারের জন্য ভগবান বিষ্ণুর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। ভগবান বিষ্ণু তাদের সমুদ্র মন্থনের পরামর্শ দেন, যার মাধ্যমে অমৃত প্রাপ্তি সম্ভব হবে। এই অমৃত পান করে দেবতারা তাদের শক্তি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন। এই কাহিনীটি আমাদের শেখায় যে অহংকার এবং গুরুজনদের প্রতি অবহেলা কখনোই ভালো ফল দেয় না এবং সঠিক পথে চলার জন্য আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে। এই অধ্যায়টি আমাদের আরও শেখায় সর্বদা বিষ্ণুর শরণে যাওয়া উচিত I কারণ ভগবান বিষ্ণুর পারেন আমাদের যাবতীয় বিপদ থেকে উদ্ধার করতে I
    続きを読む 一部表示
    13 分
  • অধ্যায় ০৪: শ্রীবিষ্ণুর মহিমা
    2024/09/25

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ এর অষ্টম স্কন্ধের চতুর্থ অধ্যায়ে গজেন্দ্রের মুক্তির কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এখানে গজেন্দ্র নামক এক হাতির কাহিনী বলা হয়েছে, যিনি একবার এক হ্রদে জল পান করতে গিয়ে এক কুমিরের আক্রমণের শিকার হন।

    ■গজেন্দ্রের প্রার্থনা ও মুক্তি
    গজেন্দ্র যখন কুমিরের সাথে লড়াই করে ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তখন তিনি ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ করেন এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করেন। গজেন্দ্রের প্রার্থনা এতটাই আন্তরিক ছিল যে ভগবান বিষ্ণু তৎক্ষণাৎ তাঁর বাহন গরুড়ের উপর চড়ে এসে গজেন্দ্রকে মুক্ত করেন। ভগবান বিষ্ণু কুমিরকে বধ করেন এবং গজেন্দ্রকে মুক্তি দেন।

    ■আধ্যাত্মিক শিক্ষা
    এই কাহিনী থেকে আমরা শিখতে পারি যে, ভক্তের আন্তরিক প্রার্থনা কখনো বৃথা যায় না। ভগবান সর্বদা তাঁর ভক্তদের রক্ষা করেন এবং তাঁদের কষ্ট দূর করেন। গজেন্দ্রের প্রার্থনা আমাদের শেখায় যে, জীবনের যেকোনো সংকটে ভগবানকে স্মরণ করা উচিত এবং তাঁর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখা উচিত।

    ■উপসংহার
    গজেন্দ্রের মুক্তির কাহিনী শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাহিনী। এটি আমাদের ভক্তি ও বিশ্বাসের গুরুত্ব বোঝায় এবং ভগবানের করুণা ও দয়া সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে।

    続きを読む 一部表示
    5 分
  • অধ্যায় ০৩: মহাবিষ্ণু স্তোত্রম
    2024/09/24

    এই অধ্যায়ে হাতিদের রাজা গজেন্দ্র, যিনি পূর্বে ইন্দ্রদ্যুম্ন নামে একজন রাজা ছিলেন, তার হৃদয়গ্রাহী প্রার্থনার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এই অধ্যায়ে, গজেন্দ্র একটি হ্রদে একটি কুমিরের আক্রমণের শিকার হন। তার শক্তিশালী শক্তি সত্ত্বেও, তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি কুমিরের কবল থেকে মুক্ত হতে পারবেন না। তার চরম বিপদের মুহূর্তে, গজেন্দ্র তার পূর্ব জীবনে শেখা একটি প্রার্থনা স্মরণ করেন এবং গভীর ভক্তি সহকারে তা জপ করতে শুরু করেন। গজেন্দ্রের প্রার্থনা গভীর এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানে পূর্ণ। তিনি সর্বশক্তিমান ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, যিনি সমস্ত কারণের কারণ এবং যিনি সমস্ত কিছু থেকে উদ্ভূত হয়েছেন। গজেন্দ্র ভগবানের অতীন্দ্রিয় প্রকৃতির প্রশংসা করেন, উল্লেখ করেন যে যদিও ভগবান মহাবিশ্বের মূল কারণ, তিনি বস্তুগত জগত দ্বারা স্পর্শিত হন না এবং চিরকাল আধ্যাত্মিক জগতে অবস্থান করেন। গজেন্দ্রের প্রার্থনা ভগবানের চরিত্রের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে। ☑️ অতীন্দ্রিয়তা: ভগবান জন্ম, মৃত্যু, বার্ধক্য এবং রোগের ঊর্ধ্বে। ☑️ সর্বব্যাপীতা: তিনি সকলের হৃদয়ে অবস্থান করেন এবং সমস্ত কার্যকলাপের সাক্ষী। ☑️ করুণা: ভগবানের করুণা ইন্দ্রিয়গুলিকে কার্যকরী করতে এবং ফলাফল অর্জন করতে সহায়তা করে। ☑️ মুক্তি: ভগবানের আশ্রয় গ্রহণের মাধ্যমে, একজন মুক্তি এবং অতীন্দ্রিয় জ্ঞান লাভ করতে পারেন। এই অধ্যায়টি ভক্তি এবং ভগবানের প্রতি আত্মসমর্পণের গুরুত্বকে জোর দেয়। গজেন্দ্রের আন্তরিক প্রার্থনা এবং তার সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ ভগবানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যার ফলে তিনি কুমিরের কবল থেকে উদ্ধার এবং মুক্তি পান।

    続きを読む 一部表示
    10 分
  • অধ্যায় ০২: হস্তীরাজ গজেন্দ্রর সংকট
    2024/09/21

    গজেন্দ্রর সংকটের গল্পগল্প শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণের অষ্টম স্কন্ধের একটি মর্মস্পর্শী ও গভীর অধ্যায়। এখানে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হল: গজেন্দ্র, হাতিদের রাজা, একবার ত্রিকূট পর্বতের একটি সুন্দর হ্রদে তার পাল নিয়ে আনন্দ করছিলেন। যখন তিনি জলে খেলছিলেন, তখন একটি শক্তিশালী কুমির হঠাৎ তার পা ধরে ফেলল। তার বিশাল শক্তি সত্ত্বেও, গজেন্দ্র নিজেকে কুমিরের কবল থেকে মুক্ত করতে পারছিলেন না। গজেন্দ্র ও কুমিরের মধ্যে যুদ্ধ হাজার বছর ধরে চলতে থাকে, কিন্তু কেউই অন্যকে পরাজিত করতে পারছিল না। ক্লান্ত ও অসহায় বোধ করে, গজেন্দ্র তার পূর্বজন্মে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন। গজেন্দ্র রাজা হিসাবে শিখেছিলেন ভগবান বিষ্ণুর বন্দনা। বিপদ কালে তখন গজেন্দ্র প্রার্থনাগুলি স্মরণ করেন। তিনি তার শুঁড় দিয়ে একটি পদ্মফুল তুলে আকাশের দিকে তুলে ধরেন এবং ভগবান বিষ্ণুকে সাহায্যের জন্য ডাকেন। তার আন্তরিক প্রার্থনা ও ভক্তি ভগবান বিষ্ণুকে মুগ্ধ করে, যিনি তার গরুড় বাহনে চড়ে দ্রুত গজেন্দ্রর সাহায্যে আসেন। ভগবান বিষ্ণু তার সুদর্শন চক্র ব্যবহার করে কুমিরের মাথা কেটে ফেলেন, গজেন্দ্রকে মুক্ত করেন। কুমিরটি আসলে হুহু নামক এক গন্ধর্ব ছিল, যাকে কুমির হিসাবে জীবনযাপন করার অভিশাপ দেওয়া হয়েছিল। ভগবান বিষ্ণুর দ্বারা মুক্তি পেয়ে, হুহু তার আসল রূপ ফিরে পায় এবং ভগবানকে ধন্যবাদ জানিয়ে উচ্চতর জগতে চলে যায়। গজেন্দ্র, গভীরভাবে কৃতজ্ঞ, ভগবান বিষ্ণুকে আন্তরিক প্রার্থনা করেন, যিনি তখন তাকে চিরস্থায়ী মুক্তি প্রদান করেন এবং তাকে বৈকুণ্ঠে নিয়ে যান। এই গল্পটি আন্তরিক ভক্তির শক্তি এবং ভক্তদেরকে ভৌতিক কষ্ট থেকে মুক্ত করার জন্য সর্বশক্তিমান ভগবানের করুণার উপর আলোকপাত করে। আপনি যদি এই গল্পটি আরও গভীরভাবে জানতে চান, তবে আপনি দেবপ্রিয় সরকার-এর শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ অষ্টম স্কন্ধের পডকাস্ট শুনতে পারেন।

    続きを読む 一部表示
    7 分